পদ্মা সেতুতে না উঠলে,নৌকায়ই চড়তে হবে: খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী
খবরের সময় ডেস্ক:
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনা ও একাদশ জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে সংসদ নেতা এ কথা বলেন।১২ কার্যদিবসের এই অধিবেশন আজ শেষ হয়েছে। শেষ দিনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাব গৃহীত হয়।প্রধানমন্ত্রী বলেন,নিজস্ব অর্থায়নে সরকার পদ্মা সেতু করেছে,সেটার প্রশংসা তো করলই না,উল্টো বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন–জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু তৈরি করা হয়েছে কেউ উঠবেন না। তা হলে নদীটা পার হবে কিসে মাননীয় স্পিকার? যদি নৌপথে যেতে হয়, তা হলে নৌকা বা…নৌকায়ই যেতে হবে বা… উপায় তো নাই। হ্যাঁ…নৌকায়ই চড়তে হবে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় হাস্যরস করে বলেন,‘উপায় নাই, নৌকায়ই চড়তে হবে। আমাদের নৌকা অনেক বড়।সবাইকে নেব। কিন্তু বেছে নেব।কেউ যেন নৌকা ফুটো করতে না পারে।সরকারপ্রধান রসিকতা করে বলেন, আমাদের নৌকা অনেক বড়, কোনো অসুবিধা নাই।আমাদের নৌকা অনেক বড় সবাইকেই নেব।তবে বেছে নেব,কেউ নৌকায় বসে নৌকা ফুটো না করে,সেটাও দেখব।
বিভিন্ন খাতে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, একযুগ সরকার একটানা ক্ষমতায় থাকায় উন্নয়নকাজ দৃশ্যমান হয়েছে। বিএনপি সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, একসময় ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বাংলাদেশ চলত।একেকটা দলের একেকটা নীতি আছে।বিএনপি বলেছিল, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভালো না। বিদেশ থেকে সাহায্য পাওয়া যাবে না। অনেক প্রশ্ন তারা করেন,সমালোচনা করেন। আয়নায় মনে হয় ভালো করে চেহারা দেখেন না। আয়না দেখেন নিশ্চয়ই সেটি মেকআপের জন্য।কিন্তু নিজেদের কাজগুলো দেখেন না।
সরকারের উন্নয়নের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার দেশকে নিজ পায়ে দাঁড় করাতে চেয়েছে। সেটি পেরেছে। জনগণ ভোট দিয়েছে, তাদের মর্যাদা রক্ষা করা, সেবা করা সরকারের দায়িত্ব।শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।